সরলকোণ কাকে বলে? সরলকোণের বৈশিষ্ট্য?

সরলকোণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় রেখাগত কোণ। গণিত, প্রকৌশল বিজ্ঞান এবং নকশাকরণ – এসব ক্ষেত্রে সরলকোণের ব্যবহার অপরিসীম।

সরলকোণের সংজ্ঞা হল, দুটি রেখা যখন পরস্পর উল্লম্ব অবস্থায় বিপরীত দিকে বিস্তারিত হয়, তখন সেই দুটি রেখার মধ্যে সৃষ্ট কোণটিকে সরলকোণ বলে। এর পরিমাপ ১৮০ ডিগ্রি।

সরলকোণ বৃত্তাকার আকৃতির এক-দ্বিতীয়াংশ সমান। একটি সরলকোণের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অনেক আবিষ্কার। সরলকোণ মানুষের জীবন ও পৃথিবীকে আরও উন্নত করে তুলতে সহায়তা করেছে।

তো চলুন সরলকোণ কি, এর বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার ও গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

সরলকোণ কাকে বলে :-

দুটি সরল রেখা যদি পরস্পর উল্লম্ব অবস্থায় বিপরীত দিকে বিস্তারিত হয়, তাহলে সেই রেখার উভয় পাশে সৃষ্ট কোণটিকে সরলকোণ বলা হয়।

দুইটি পরস্পর বিপরীত রশ্মি তাদের সাধারণ প্রান্তবিন্দুতে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে সরল কোণ বলে।

আরও পড়ুনঃ সমকোণ ত্রিভুজ কাকে বলে?

চিত্রে, AB রশ্মির প্রান্তবিন্দু A থেকে B এর বিপরীত দিকে AC রশ্মি আঁকা হয়েছে। AB ও AC রশ্মিদ্বয় তাদের সাধারণ প্রান্তবিন্দু A তে <BAC উৎপন্ন করেছে। <BAC কে সরল কোণ বলে এবং এর ডিগ্রি পরিমাপ দুই সমকোণ বা 180°।

সরলকোণের বৈশিষ্ট্য :-

  • - একটি সরল কোণ বিন্দু থেকে বের হয়ে ঠিক বিপরীত দিকে যাওয়া দুইটি রশ্মির মাঝে গঠিত হয়।
  • - সরল কোণের পরিমাপ সবসময় ১৮০ ডিগ্রি হয়।
  • - সরল কোণ পূর্ণ ঘূর্ণনের অর্ধেককে প্রতিনিধিত্ব করে। অর্থাৎ দুইটি সরল কোণ মিলিয়ে পূর্ণ ৩৬০ ডিগ্রির ঘূর্ণন তৈরি হয়।
  • - সরল কোণ হল একটি বিন্দুতে গঠিত হতে পারে এরচেয়ে বড় কোন কোণ নয়।
  • - সরল কোণ গঠনকারী রেখাগুলিকে সরল রেখা বা ১৮০ ডিগ্রির রেখা বলা হয়। এগুলির সাধারণ প্রান্তবিন্দুতে দুটি সমষ্টি আনুভূমিক সরল কোণ গঠিত হয়।
  • - তৃতীয় কোন রেখা দিয়ে সরল কোণকে বিভক্ত করলে সেটি দুটি সমষ্টি আনুভূমিক কোণে বিভক্ত হয়।
  • - পাশাপাশি অবস্থান করা দুটি সরল কোণ পরস্পর পূরক হিসেবে গণ্য হয়, যেহেতু এদের পরিমাপগুলির সমষ্টি ১৮০ ডিগ্রি হয়।
  • - সরল কোণকে সমতল কোণ বলা হয়, কারণ এর রশ্মিগুলি একই সমতলে অবস্থিত।
আরও পড়ুনঃ তল কাকে বলে?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ