হিসাব বিজ্ঞান কাকে বলে? হিসাব বিজ্ঞান কত প্রকার? হিসাব বিজ্ঞানের ইতিহাস?

ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, এনজিও এবং অ-মুনাফাভোগী প্রতিষ্ঠানে তথ্য ব্যক্তিক, পারিবারিক, সামাজিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন লিখে রাখা, আর্থিক অবস্থা, লাভক্ষতি ও দেনা-পাওনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়াই হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য।

হিসাববিজ্ঞান শব্দটি 'হিসাব' ও 'বিজ্ঞান' শব্দ দুটির সম্মিলিত রূপ। আভিধানিক অর্থে হিসাব বলতে গণল বুঝায়।

পারিভাষিক অর্থে হিসাব বলতে অর্থের দ্বারা পরিমাপযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি, দায় ও আয়ব্যয় সংক্রান্ত লেনদেনের বিবরণকে বুঝায়। অন্যদিকে বিজ্ঞান বলতে কোনো বিষয়ে সুসংবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল জ্ঞানকে বুঝায়।

হিসাব বিজ্ঞান কাকে বলে :-

হিসাববিজ্ঞানকে অনেকে হিসাবশাস্ত্র বলেও আখ্যায়িত করে থাকেন। বস্তুত ব্যবসায়ী ও অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনসমূহ লিপিবদ্ধকরণ এবং তার ফলাফল নির্ধারণ সম্পর্কিত কর্মধারা একটি গ্রহণযোগ্য নীতি ও পদ্ধতির মাধ্যমে সম্পন্ন করার কলাকৌশলকে হিসাববিজ্ঞান বলে।

সহস্র ভাষায় বলা যায়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে লিপিবদ্ধকরণ, সংরক্ষণ, আর্থিক ফলাফল ও অবস্থা নির্ণয় এবং বিশ্লেষণ করার সুসংবদ্ধ জ্ঞানকে হিসাববিজ্ঞান বলে।

আরও পড়ুন :- সুনাম কি?

এবার আসুন খ্যাতনামা হিসাববিদ ও সংস্থা হিসাববিজ্ঞানের সংজ্ঞা কীভাবে দিয়েছেন তা নিয়ে আলোচনা করি।

A. W. Johnson এর মতে, "অর্থের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য ব্যবসায়িক লেনদেনসমূহের সংগ্রহ, সংরক্ষণ, সুসংবদ্ধ লিপিবদ্ধকরণ, আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ ও বিশ্লেষণ ও বিশদ ব্যাখ্যাকরণকে হিসাববিজ্ঞান বলে। এ সকল প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ ব্যবসার পরিচালকগণকে ভবিষ্যত ব্যবসা পরিচালনা বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে থাকে।"

Prof. H. Chakrabarty বলেন, "হিসাববিজ্ঞান হল স্থির ও গতিময় রীতিতে সম্পদ পরিমাপের একটি বিজ্ঞান যা অবরোহ পদ্ধতির প্রায়োগিক ও সামাজিক নিয়মে গৃহীত তথ্য, নীতি, মতবাদ ও নিয়মাবলীর আওতায় আর্থিক লেনদেন লিপিবদ্ধকরণ, শ্রেণীবদ্ধকরণ, সংক্ষিপ্তকরণ ও আর্থিক অবস্থার সামগ্রিক বিচার বিশ্লেষণ করে থাকে।"

American Accounting Association (AAA)-এর সংজ্ঞাটি সর্বাধুনিক ও উল্লেখযোগ্য: “তথ্য ব্যবহারকারীগণের তথ্য নির্ভর বিচার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তার জন্য যে প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক তথ্য নির্ণয়, পরিমাপ ও সরবরাহ করা হয় তাকে হিসাববিজ্ঞান বলে।"
হিসাব বিজ্ঞান কাকে বলে

হিসাব বিজ্ঞান কত প্রকার ও কি কি :-


বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ধরন ও আয়তন পরির্তন হচ্ছে। ব্যবসার জটিলতা বাড়ছে এবং সেসাথে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির ফলে হিসাববিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। তাই হিসাববিজ্ঞানের পরিধিও ব্যাপকতর হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে হিসাববিজ্ঞানের বিশেষ বিশেষ শাখার উদ্ভব ঘটেছে। নিম্নে হিসাববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলঃ

আর্থিক হিসাববিজ্ঞান (Financial Accounting) :-

কোন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনসমূহ লিবিদ্ধ করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফলাফল ও আর্থিক অবস্থা নির্ণয় করা আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের প্রধান কাজ।

এই উদ্দেশ্যে, বিভিন্ন আর্থিক বিবরণী, প্রতিবেদন ও বিবৃতি প্রস্তুত করে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে সরবরাহ করে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনাকে দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে।

ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান (Management Accounting) :-

প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনাকে দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা হিসাববিজ্ঞানের এই শাখার কাজ।

নিরীক্ষাশাস্ত্র (Auditing) :-

আর্থিক লেনদেনসমূহ লিপিবদ্ধকরণ, আর্থিক প্রতিবেদন ও বিবরণী প্রস্তুতকরণ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে ভুল ও জালিয়াতি উদ্ঘাটন করা ও প্রতিরোধ করা হিসাবিজ্ঞানের এই শাখার কাজ। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই সনদপ্রাপ্ত পেশাদারী একাউনটেন্ট স্বাধীনভাবে নিরীক্ষা কার্য সম্পাদন করেন।

উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞান (Cost Accounting) :-

উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য বা সেবার উৎপাদন ব্যয় নির্ধারণ, বিশ্লেষণ ও নিয়ন্ত্রণ উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানের প্রধান কাজ।

কর হিসাববিজ্ঞান (Tax Accounting) :-

প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট সময় পর আয়কর ও অন্যান্য কর নির্ধারণ ও বিভিন্ন লেনদেনের উপর করের প্রভাব সম্পর্কে ব্যবস্থাপনাকে অবহিত করা কর হিসাববিজ্ঞানের প্রধান কাজ।

সরকারি ও অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের হিসাববিজ্ঞান (Accounting for Governmental and Non-trading Concern) :-

এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে পৃথক। মুনাফা অর্জন এগুলোর উদ্দেশ্য নয় বরং উদ্দেশ্য হল সেবা প্রদান করা। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের লেনদেনসমূহ লিবিদ্ধ করে হিসাববিরণী প্রস্তুত করাই হিসাববিজ্ঞানের এই শাখার কাজ।

সামাজিক হিসাববিজ্ঞান (Social Accounting) :-

হিসাববিজ্ঞানের একটি নতুন চিন্তাধারার নাম সামাজিক হিসাববিজ্ঞান। সামাজিক কর্মকান্ডের আয় ও ব্যয় নির্ণয় এই হিসাববিজ্ঞানের কাজ। যেমন- সরকার একটি রাস্তা তৈরী করে। এই পদক্ষেপের ব্যয় কত এবং এর দ্বারা কত মানুষ উপকৃত হল ও তার মূল্য নির্ধারণ সামাজিক হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য। জাতীয় আয়-ব্যয় নির্ধারণের ক্ষেত্রেও এই হিসাববিজ্ঞান ব্যবহার করা যায়।

আরও পড়ুন :- অবচয় কাকে বলে?

হিসাববিজ্ঞানের ক্রমবিকাশের ইতিহাস :-

হিসাববিজ্ঞানের ক্রমবিকাশের ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতই প্রাচীন। এর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রায় চার হাজার বছর পূর্বেও হিসাব সংরক্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়।

প্রাচীন ব্যাবিলন, রোম, মিশর, মহেঞ্জোদারো প্রভৃতি সভ্যতায় হিসাব পদ্ধতির প্রচলন ছিল। সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে প্রয়োজনের তাগিদে হিসাবিজ্ঞান প্রক্রিয়াও ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়েছে।

সূচনা হতে আধুনিককাল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায় ক্রমবিবর্তনের মধ্য দিয়ে কীভাবে হিসাববিজ্ঞজ্ঞান বর্তমান পর্যায়ে এসেছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণকে নিম্নোক্ত চারভাগে ভাগ করা হলো

১. উন্নয়ন কাল (Development period upto 1494)
২. প্রাক বিশ্লেষণ কাল (Pre-explanatory period 1495-1800)
৩. বিশ্লেষণ কাল (Explanatory period 1800-1950)
৪. আধুনিক কাল (Modern period 1950 onward)

১. উন্নয়নকাল :-

সভ্যতার শুরু থেকে ১৪৯৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত এ কাল বিস্তৃত। প্রস্তর যুগ, প্রাচীন যুগ, বিনিময় যুগ ও মুদ্রা যুগ এই কালের অন্তর্ভুক্ত। এসব যুদ্ধে হিসাব ব্যবস্থা মানব সমাজে প্রচলিত থাকলেও তা ছিল অসম্পূর্ণ ও অপরিপন্ন। বিভিন্ন যুগের হিসাববিজ্ঞানের বিবর্তনের ইতিহাস নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।

ক) প্রস্তর যুগ :-

এ যুগে মানুষ বনে, জঙ্গলে, পর্বতের গুহায় বাস করতো। গাছের ফলমূল সংগ্রহ ও বন্য পশু শিকার করে তারা জীবিকা নির্বাহ করত। তারা কত ফলমূল সংগ্রহ ও পশু শিকার করত তা প্রয়োজন মতো গাছের গায়ে, পর্বতের গুহায় অথবা পাথরে চিহ্ন দিয়ে হিসাব রাখত।

খ) প্রাচীন যুগ :-

এ যুগে মানুষ সমাজবদ্ধভাবে বসবাস শুরু করে। মানুষ এ যুগে দেয়ালে দাগ কেটে, রশিতে গিঁট বেধে হিসাব রাখ।

গ) বিনিময় যুগ :-

মানুষের প্রয়োজন মিটানোর তাগিদে এ যুদ্ধে দ্রব্য বিনিময় শুরু হয়। এ সময়ে মানুষ মাটির ঘরের দেয়ালে ও দরজায় কপাটের অভ্যন্তর ভাগে রং দিয়ে দাগ কেটে হিসাব রাখত। আমাদের দেশে এখনো গ্রাম এলাকায় পোয়ালে বাঁশের কাঠিতে দাগ কেটে দুধের হিসাব রাখে।

ঘ) মুদ্রা যুগ :-

সময়ের বিবর্তনে মুদ্রার ব্যবহার শুরু হয়। এ যুগে কৃষি, শিল্প ও ব্যবসায় বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। মানুষ মুদ্রার আদানপ্রদান ও অর্থনৈতিক লেনদেন পশুর চামড়া, গাছের পাতা, ছাল ইত্যাদিতে লিখে রাখতে শুরু করে।

আরও পড়ুন :- হিসাব কাকে বলে?

২. প্রাক-বিশ্লেষণ কাল (১৪৯৪-১৮০০) :-

এ সময়ে কৃষি, শিল্প, ব্যবসায় ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। সেই সাথে হিসাব ব্যবস্থায়ও এক বৈপ্লবিক মাত্রা সংযোজিত হয়।

ইতালির Fra Luca Bartolomeo de Pacioli নামক একজন পাদ্রি ১৪৯৪ সালে Summa de Arithmetica, Geometria, Proportione et Proportionalite নামক একটি বইয়ের De Computies et Scripturis অংশে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতিতে লেনদেনের ডেবিট এবং ক্রেডিট নির্ণয় করে হিসাবে লিপিবন্ধ করার প্রণালি উল্লেখ করেন।

ঐ বইটির ওপর ভিত্তি করে ইতালিকে হিসাববিজ্ঞানের জন্মস্থান এবং লুকা প্যাসিওলিকে হিসাববিজ্ঞানের জনক বলা হয়। পরবর্তীতে এ হিসাব পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করে। আর এ দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করেই আধুনিক হিসাববিজ্ঞান প্রবর্তিত হয়েছে।

৩. বিশ্লেষণ কাল (১৮০০-১৯৫০) :-

এ সময়ে শিল্প বিপ্লব, যৌথ মূলধনী ব্যবসায়ের উৎপত্তি, ব্যবসায় ও মালিকানার পৃথক স্বম্ভার স্বীকৃতি, ব্যবহৃত পুঁজি সপ্তাহের প্রয়োজনীয়তা, কোম্পানি আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ ও শেয়ার মালিকদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা, বহুমুখী ও ব্যাপক উৎপাদন, শ্রমিক মালিক সম্পর্কের জটিলতা, বিপুল প্রতিযোগিতা, সরকারি নিয়ন্ত্রণ, অধিক মুনাফা অর্জনের আকাঙ্খা ইত্যাদি হিসাববিজ্ঞানের উন্নয়ন ও বিশ্লেষণ কার্যে প্রভাব বিস্তার করে।

ফলে হিসাববিজ্ঞানের বিভিন্ন রীতি ও নীতির উন্নয়ন ঘটে এবং বিভিন্ন দেশে পেশাদার হিসাববিজ্ঞানীদের সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সময় নিরীক্ষা শাস্ত্র, কর হিসাববিজ্ঞান, উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞান, সরকারি হিসাববিজ্ঞান ও সামাজিক হিসাববিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটে।

৪. আধুনিক কাল (১৯৫০-পরবর্তী) :-

বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানব সভ্যতা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ও দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে হিসাববিজ্ঞানের আওতা ও কার্যাবলি সম্প্রসারিত হচ্ছে।

ব্যবসায় সামাজিক ও আইনগত পরিবেশের সাথে সঙ্গতি রেখে এবং ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনে জন্ম নিয়েছে ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান, বাজেটিয় নিয়ন্ত্রণ, দায়িত্ব হিসাববিজ্ঞান, মুদ্রাস্ফীতি হিসাববিজ্ঞান, মানব সম্পদ হিসাববিজ্ঞান, পরিবেশ হিসাববিজ্ঞান ইত্যাদি।

তাছাড়া ১৯৭৩ সালে গঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক হিসাব মান কমিটি, যার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দেশের পেশাদার হিসাববিদগণ পরিবেশের হিসাব মান ব্যবহার করে ও হিসাব কার্যের মানোন্নয়নে নিয়োজিত আছেন।

হিসাববিজ্ঞান বর্তমান যুগে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে এ কথা বলা যায় না। ব্যবসায় বাণিজ্যের জটিলতা, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের নতুনত্ব ও নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ফলে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে ক্রমবিবর্তন, সংস্কার ও উন্নয়ন চলছে এবং চলবে।

হিসাববিজ্ঞান প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার হিসাবরক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ এবং প্রস্তুত ও উপস্থাপনে এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। এভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ও চাহিদার প্রেক্ষিতে ক্রমশ হিসাববিজ্ঞানের বিকাশ ঘটতেই থাকবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ