সংলগ্ন কোণ কাকে বলে? সংলগ্ন কোণের বৈশিষ্ট্য?

জ্যামিতিতে কোণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। কোণের মাপ নির্ণয় করা যায় ডিগ্রিতে। যে কোন দুটি রেখার মধ্যে সৃষ্ট কোণকে বলা হয়। কোণের ধরণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন সমকোণ, সংলগ্ন কোণ, অপূর্ণকোণ ইত্যাদি। 

আজ আমরা সংলগ্ন কোণ সম্পর্কে আলোচনা করব। সংলগ্ন কোণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা জ্যামিতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সংলগ্ন কোণ কাকে বলে :-

সংলগ্ন কোণ এমন দুটি কোণ যারা একই শীর্ষে একত্রিত হয় এবং যার যোগফল 90 ডিগ্রি হয়।

উদাহরণস্বরূপ:

যদি ∠ABC এবং ∠CBD দুটি কোণ একই B শীর্ষে একত্রিত হয় এবং ∠ABC + ∠CBD = 90°, তাহলে ∠ABC ও ∠CBD কে সংলগ্ন কোণ বলা হয়।

অর্থাৎ যে কোন দুটি কোণ যদি একই শীর্ষে একত্রিত হয় এবং তাদের যোগ 90° হয়, সেগুলো সংলগ্ন কোণ বলে।


সংলগ্ন কোণের বৈশিষ্ট্য :

১) সংলগ্ন কোণ হল এমন দুটি কোণ যারা একই শীর্ষে একত্রিত হয়। অর্থাৎ একটি সাধারণ বিন্দুতে দুটি কোণের শীর্ষ একত্রিত থাকে।

২) সংলগ্ন কোণ দুটির যোগফল ৯০ ডিগ্রি হয়।

৩) একটি কোণ যদি ৩০ ডিগ্রি হয়, তাহলে সংলগ্ন কোণটি ৬০ ডিগ্রি হবে।

৪) একটি কোণ যদি ৪৫ ডিগ্রি হয়, তাহলে সংলগ্ন কোণটি ৪৫ ডিগ্রি হবে।

৫) ৯০ ডিগ্রির কোণকে সংলগ্ন কোণ হিসেবে গণ্য করা যায় না।

৬) সংলগ্ন কোণ গুলোর ওপরে ভিত্তি করেই বৃত্তাকার, ত্রিভুজ এবং চতুর্ভুজের কোণগুলো নির্ধারণ করা হয়।

৭) সংলগ্ন কোণগুলো জ্যামিতিতে বিভিন্ন প্রমেয় প্রমাণ করতে ব্যবহৃত হয়।

সংলগ্ন কোণের গুরুত্ব :

১. সংলগ্ন কোণ সম্পর্কে ধারণা ছাড়া জ্যামিতির যুক্তি বোঝা কঠিন। সংলগ্ন কোণ শিক্ষা ছাড়া জ্যামিতিতে দক্ষতা অর্জন সম্ভব নয়।

২. বৃত্তাকার, ত্রিভুজ ও চতুর্ভুজের কোণ সমূহ সংলগ্ন কোণের ওপর ভিত্তি করেই গণনা করা হয়।

৩. ট্রাইগনমেট্রি বিষয়ে সংলগ্ন কোণের ব্যবহার অপরিহার্য। সাইন, কোসাইন, ট্যাঞ্জেন্ট ইত্যাদি রেশিও সংলগ্ন কোণ দ্বারাই সম্ভব।


৪. সংলগ্ন কোণ দিয়েই বিভিন্ন জ্যামিতিক প্রমেয় প্রমাণ করা যায়।

৫. কোন জ্যামিতিক আকৃতির কোণ সমূহ সঠিকভাবে বোঝার জন্য সংলগ্ন কোণের ধারণা জরুরি।

৬. ট্রাইগনমেট্রিতে বিভিন্ন সমীকরণ সমাধানে সংলগ্ন কোণের প্রয়োজন হয়।

সংক্ষেপে, জ্যামিতির সঠিক ধারণা লাভে সংলগ্ন কোণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ