যে সব শব্দ সংখ্যা বা পরিমাণের একক নির্দেশ করে, সেই সব শব্দকে বলা হয় সংখ্যাবাচক শব্দ। সংখ্যাবাচক শব্দের ব্যবহার পৃথিবীর সব ভাষাতেই বিদ্যমান।
বাংলা ভাষায়ও এরূপ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। বাংলা ভাষার সংখ্যাবাচক শব্দগুলি শব্দ আলোচনায় বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে। এই পোস্টে সংখ্যাবাচক শব্দ কাকে বলে এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
যেমন- এক টাকা, দশ টাকা। এক টাকাকে এক এক করে দশবার নিলে দশ টাকা হয়।
আমরা প্রথমেই আলোচনা করেছি , সংখ্যা প্রকাশ করে যে সব শব্দ সেই সব শব্দকে বলা হয় সংখ্যাবাচক শব্দ।
অন্যভাবে বলা যায়, যে সব শব্দ দ্বারা সংখ্যা গণনা করা হয়, বা যে শব্দগুলো দ্বারা সংখ্যা বোঝানো হয়, তাকে সংখ্যাবাচক শব্দ বলে।
যেমন- ১,২,৩,৪ অথবা এক, দুই, তিন, চার, অথবা পহেলা, দোসরা, তেসরা ইত্যাদি।
যেমন- কুড়ি (২০) এই শব্দটি কোল ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে, আবার হাজার (১০০০) শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় আগত শব্দ।
ক) অঙ্কবাচক শব্দ।
খ) পরিমাণ বা গণনাবাচক শব্দ।
গ) ক্রম বা পূরণবাচক শব্দ।
ঘ) তারিখবাচক শব্দ।
আমাদের ভাষায় সংখ্যার একক হলো 'এক'। সুতরাং কোনো শব্দকে ভাঙতে হলে এক সংখ্যাকে একক হিসেবে গণ্য করা হয়।
যেমন- তিন টাকা বলতে এক টাকার তিনটি একক বা এককের সমষ্টি বোঝায়। অতএব 'তিন' সংখ্যাকে আমরা ভাঙতে পারি এভাবে এক+এক+এক। এভাবে এক থেকে একশ পর্যন্ত গণনা করা যায়।
অন্যভাবে বলা যায়, একাধিক বার একই একক গণনা করলে যে সমষ্টি পাওয়া যায়, তাকেই পরিমাণ বা গণনাবাচক সংখ্যা বলে।
যেমন এক সপ্তাহ বলতে আমরা সাত দিনের সমষ্টিকে বুঝিয়ে থাকি। যেমন সপ্ত (সাত) + অহ (দিনক্ষণ) = সপ্তাহ। এখানে 'দিন' একটি একক। এরূপ সাতটি দিন বা একক মিলে হয়েছে এক সপ্তাহ।
যেমন-
দ্বিতীয়জনকে খবরটি দাও। এখানে গণনার একজনের পরের লোকটিকে বোঝানো হয়েছে। দ্বিতীয়জনের আগের লোকটিকে বলা হয় প্রথম আর পরের লোকটিকে বলা হয় তৃতীয়। এরূপ পরবর্তী ক্রম হলো চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় তারিখবাচক শব্দ প্রচলিত রয়েছে। এই শব্দগুলো বাংলায় প্রতিদিনের তারিখ নির্দেশ করাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন পয়লা (পহেলা বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ, তেইশে শ্রাবণ, চব্বিশে বৈশাখ, একুশে ভদ্র, পহেলা মাঘ ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তারিখবাচক শব্দগুলির মধ্যে ১ থেকে ৪ পর্যন্ত হিন্দি নিয়মে সাধিত হয়।
বাংলা ভাষায়ও এরূপ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। বাংলা ভাষার সংখ্যাবাচক শব্দগুলি শব্দ আলোচনায় বিশেষ স্থান অধিকার করে রয়েছে। এই পোস্টে সংখ্যাবাচক শব্দ কাকে বলে এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
সংখ্যাবাচক শব্দ কি বা কাকে বলে :-
এক কথায় বলা যায়, যে শব্দ দিয়ে সংখ্যা বোঝায় তাকে সংখ্যাবাচক শব্দ বলে। যেমন- অঙ্কে, পূরণে, গণনায় ও তারিখ নির্দেশে এসব সংখ্যাবাচক শব্দ ব্যবহৃত হয়।যেমন- এক টাকা, দশ টাকা। এক টাকাকে এক এক করে দশবার নিলে দশ টাকা হয়।
আমরা প্রথমেই আলোচনা করেছি , সংখ্যা প্রকাশ করে যে সব শব্দ সেই সব শব্দকে বলা হয় সংখ্যাবাচক শব্দ।
অন্যভাবে বলা যায়, যে সব শব্দ দ্বারা সংখ্যা গণনা করা হয়, বা যে শব্দগুলো দ্বারা সংখ্যা বোঝানো হয়, তাকে সংখ্যাবাচক শব্দ বলে।
যেমন- ১,২,৩,৪ অথবা এক, দুই, তিন, চার, অথবা পহেলা, দোসরা, তেসরা ইত্যাদি।
পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার ন্যায় বাংলাতেও সংখ্যাবাচক শব্দ রয়েছে। বাংলা সংখ্যাবাচক শব্দগুলোর প্রায়ই তদ্ভব। এর মধ্যে যেসব শব্দ তদ্ভব নয়, তা এসেছে বিদেশি ভাষা থেকে অথবা দেশি শব্দ থেকে।
আরও পড়ুন :- সমার্থক শব্দ কি? উদাহরণ দাও?
আরও পড়ুন :- সমার্থক শব্দ কি? উদাহরণ দাও?
যেমন- কুড়ি (২০) এই শব্দটি কোল ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে, আবার হাজার (১০০০) শব্দটি ফারসি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় আগত শব্দ।
সংখ্যাবাচক শব্দ কত প্রকার ও কি কি :-
সংখ্যাবাচক শব্দ কত প্রকার ও কি কি? এর উত্তরে বলা যায়, বাংলা ভাষায় প্রচলিত সংখ্যাবাচক শব্দ গুলোকে চারটি প্রকারে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা-ক) অঙ্কবাচক শব্দ।
খ) পরিমাণ বা গণনাবাচক শব্দ।
গ) ক্রম বা পূরণবাচক শব্দ।
ঘ) তারিখবাচক শব্দ।
ক) অঙ্কবাচক শব্দ :-
যে শব্দ দ্বারা অঙ্কবাচক শব্দ নির্দেশ করা হয় তাকে বলা হয় অঙ্কবাচক শব্দ।আমাদের ভাষায় সংখ্যার একক হলো 'এক'। সুতরাং কোনো শব্দকে ভাঙতে হলে এক সংখ্যাকে একক হিসেবে গণ্য করা হয়।
যেমন- তিন টাকা বলতে এক টাকার তিনটি একক বা এককের সমষ্টি বোঝায়। অতএব 'তিন' সংখ্যাকে আমরা ভাঙতে পারি এভাবে এক+এক+এক। এভাবে এক থেকে একশ পর্যন্ত গণনা করা যায়।
খ) পরিমাণ বা গণনা বাচক সংখ্যা :-
যে সব সংখ্যার প্রয়োগ করে পরিমাণ নির্ণয় বা গণনা করা হয় সেসব শব্দকে পরিমাণ বা গণনা বাচক সংখ্যা বলে।অন্যভাবে বলা যায়, একাধিক বার একই একক গণনা করলে যে সমষ্টি পাওয়া যায়, তাকেই পরিমাণ বা গণনাবাচক সংখ্যা বলে।
আরও পড়ুন :- শব্দ ও পদের পার্থক্য কোথায়
যেমন এক সপ্তাহ বলতে আমরা সাত দিনের সমষ্টিকে বুঝিয়ে থাকি। যেমন সপ্ত (সাত) + অহ (দিনক্ষণ) = সপ্তাহ। এখানে 'দিন' একটি একক। এরূপ সাতটি দিন বা একক মিলে হয়েছে এক সপ্তাহ।
গ) ক্রমবাচক সংখ্যা :-
একই দল সারি বা শ্রেণিতে অবস্থিত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর সংখ্যার ক্রম বা পূরণবাচক সংখ্যা ব্যবহৃত হয়।যেমন-
দ্বিতীয়জনকে খবরটি দাও। এখানে গণনার একজনের পরের লোকটিকে বোঝানো হয়েছে। দ্বিতীয়জনের আগের লোকটিকে বলা হয় প্রথম আর পরের লোকটিকে বলা হয় তৃতীয়। এরূপ পরবর্তী ক্রম হলো চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ ইত্যাদি।
ঘ) তারিখবাচক শব্দ :-
তারিখ বোঝাতে যেসব শব্দ ব্যবহৃত হয় এক কথায় সেসব শব্দকে বলা হয় তারিখবাচক শব্দ।বাংলা ভাষায় তারিখবাচক শব্দ প্রচলিত রয়েছে। এই শব্দগুলো বাংলায় প্রতিদিনের তারিখ নির্দেশ করাতে ব্যবহৃত হয়।
যেমন পয়লা (পহেলা বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ, তেইশে শ্রাবণ, চব্বিশে বৈশাখ, একুশে ভদ্র, পহেলা মাঘ ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তারিখবাচক শব্দগুলির মধ্যে ১ থেকে ৪ পর্যন্ত হিন্দি নিয়মে সাধিত হয়।
আরও পড়ুন :- দ্বিরুক্ত শব্দ কি?
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam link in the comment box.