কোলেস্টেরল কাকে বলে? কোলেস্টেরল কত প্রকার?কোলেস্টেরলের কাজ কি?

কোলেস্টেরল কি বা কাকে :-

কোলেস্টেরল হাইড্রোকার্বন কোলেস্টেইন থেকে উৎপন্ন একটি যৌগ। এটি প্রাণী কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। লিপোপ্রোটিন নামক যৌগ সৃষ্টির মাধ্যমে রক্তে প্রবাহিত হয়।

কোলেস্টেরল এর প্রকারভেদ :-

তিন প্রকার লিপোপ্রোটিন দেখা যায়। একটিকে এলডিএল (Low density lipoprotein) বলা হয়। অনেকে একে খারাপ কোলেস্টেরল বলে। সাধারণত আমাদের রক্তে ৭০% LDL থাকে। ব্যক্তি বিশেষে এর পার্থক্য দেখা যায়।

রক্তে এইচডিএল ( High density lipoprotein) কে সাধারণত ভাল কোলেস্টেরল বলা হয়। HDL হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। শারীরিক বৃদ্ধিতে HDL, LDL এর ঠিক উল্টো কাজ করে।

আরও পড়ুন :- অভিশ্রবন নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে?

তৃতীয় ধরনের লিপোপ্রোটিনকে ট্রাইগি সারাইড বলা হয়। এ কোলেস্টেরল আমাদের খাদ্যে এবং শরীরে চর্বি হিসেবে থাকে। এ কারণে রক্তের প্লাজমায় এরা অবস্থান করে। ট্রাইগ্লিসারাইড আমাদের খাদ্যের প্রাণীজ চর্বি বা কার্বোহাইড্রেট থেকে তৈরি হয়। রক্তে কোলেস্টেরল আদর্শ মান নিম্নরূপ-
কোলেস্টেরল কি

রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল-

সমস্যা : রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল থাকলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-

১. অ্যাপারোস্ক্লেরোসিস (ধমনিতে রক্ত চলাচলের জায়গা কমে যায়)।

২. করোনারি হৃদরোগ বেড়ে যায়।

৩. হৃদপিন্ডের ক্রিয়াকলাপের ব্যাঘাত ঘটে।

৪. হৃদপিন্ডের রক্ত চলাচল কমে যাবার ফলে বুকে ব্যথা অনুভূত হয়।

কাজ বা উপকারিতা :-

১. কোলেস্টেরল কোষ প্রাচীর তৈরি ও রক্ষার কাজ করে।

২. কোষের ভেদ্যতা নির্ণয় করে বিভিন্ন দ্রব্যাদি কোষে প্রবেশ বা বাধা প্রদান করে।

আরও পড়ুন:- প্রস্বেদন কি?

৩. মানব দেহের জনন হরমোন এন্ড্রোজেন ও ইস্ট্রোজেন তৈরিতে সাহায্য করে।

৪. অ্যাডরেনাল গ্রন্থির হরমোন তৈরিতে কোলেস্টেরল ব্যবহৃত হয়।

৫. কোলেস্টেরল পিত্ত তৈরি করে।

৬. সূর্যালোকের উপস্থিতিতে চামড়ায় কোলেস্টেরল থেকে ভিটামিন 'D' তৈরি হয়।

৭. শরীরে চর্বি জাতীয় খাদ্য বিপাকে কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয়।

৮. স্নায়ুকোষের কার্যকারিতার জন্যে কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয়।

৯. দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাথে কোলেস্টেরল ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

স্বাস্থ্য ঝুঁকির ক্ষেত্রে :-

১. প্রমাণিত যে, রক্তে উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল হৃদপিন্ড এবং রক্ত সংবহনের বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।

২. পিত্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বেড়ে গেলে তা তলানির মতো পিত্ত থলিতে জমা হয়। এটি পিত্ত থলির পাথর (Gall bladder stone) নামে পরিচিত।

৩. যকৃতে (Liver) লিপিড এর পরিমাণ বেড়ে যায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ