রেচন ও রেচনতন্ত্র কাকে বলে?

মানুষের রেচন প্রক্রিয়া :-

রেচন মানবদেহের একটি জৈবিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে দেহে বিপাক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থগুলো নিষ্কাশিত হয়। দেহের এ সকল বর্জ্য পদার্থগুলো শরীরে কোন কারণে জমতে থাকলে নানা রকমের অসুখ দেখা দেয়, পরবর্তীতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

রেচন প্রকৃয়ায় দেহের বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশিত হয়ে দেহ থেকে বের করে দিয়ে দেহের শারীরবৃত্তীয় ভারসাম্য রক্ষা করে। শরীরের অতিরিক্ত পানি, লবণ, কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জৈব পদার্থগুলো সাধারণত রেচনের মাধ্যমে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। রেচন পদার্থ নিষ্কাশনের জন্য মানবদেহে সুনির্দিষ্ট অঙ্গ রয়েছে।

যে সব অঙ্গ রেচন কাজে অংশ গ্রহণ করে তাদেরকে রেচন অঙ্গ বলা হয়। এটি রেচনতন্ত্র নামে পরিচিত। রেচনতন্ত্রের মাধ্যমে শতকরা ৮০% রেচন পদার্থ নিষ্কাশিত হয়। নাকি ২০% রেচন পদার্থ বিভিন্ন ক্রিয়াকর্মে উৎপন্ন ও বিভিন্ন অঙ্গের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়। মানবদেহের রেচন অঙ্গের নাম বৃক্ষ। আর বুকের একক হলো নেফ্রন।

আরও পড়ুন :- মানবদেহে মূত্র তৈরির পদ্ধতি?

রেচন পদার্থ :-

রেচন পদার্থ বলতে মূলত নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থকে বোঝায়। রেচন পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে আসে। এ সকল বিপাকীয় বর্জ্য পদার্থ নিম্নরূপ- নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ অ্যামোনিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, পিত্ত রঞ্জক, বিভিন্ন ধরনের লবণ এবং ঘাম ও পানি।

রেচন কাকে বলে :-

প্রাণীদেহের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রকার জৈবিক (biological) বা শরীয় (physiological) কার্যাবলী সংঘটিত হয়। যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় কোষীয় বিপাকের ফলে সৃষ্ট নাইট্রোজেন ঘটিত বর্জ্য পদার্থ দেহ থেকে নিষ্কাশিত হয় তাকে রেচন (Excretion) বলে।

রেচনতন্ত্র কাকে বলে :-

এবং যে তন্ত্রের মাধ্যমে রেচনকার্য সম্পন্ন হয় তাকে রেচনতন্ত্র (Excretory system) বলে। বৃক্ক মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গ।

মানব রেচনতন্ত্র (Human excretory system ) :

দুলিখিত অঙ্গসমূহের সমন্বয়ে মানুষের রেচনতন্ত্র গঠিত। যথা-

১. একজোড়া বৃক্ষ (kidney)

২. এক জোড়া রেচননালী বা গবিনী বা ইউরেটার ( ureter) ৩. একটি মূত্র থলি (urinary bladder) এবং

৪. একটি মূত্রনালী (Urethra)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ