সমীভবন কাকে বলে? উদাহরণ দাও? সমীভবন কত প্রকার ও কি কি

কথা বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জন সংগতির ব্যবহার বা প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। বাঞ্জন সংগতি বা সমীভবন বা সমীকরণ কথাটির অর্থ হল সমান হওয়া বা সমান করা। উচ্চারণকে সরল ও সহজ করার জন্যই এই সমীভবনের জন্ম।

সমীভবন কাকে বলে :-

শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি পৃথক ব্যঞ্জনধ্বনি যখন একে অপরের প্রভাবে বা উভয় উভয়ের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে দুটি একই ব্যঞ্জনে পরিণত হয় অথবা উচ্চারণগত সমতা লাভ করে, তবে সেই ধ্বনি পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বলে সমীভবন বা সমীকরণ।

আরও পড়ুন :-  অনুধাবন কাকে বলে?

সমীভবন কত প্রকার ও কি কি :-

সমীভবনকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

১ - প্রগত সমীভবন (Progressive Assimilation),

২ - পরাগত সমীভবন (Regressive Assimilation) ও

৩ - অন্যান্য বা পারস্পরিক সমীভবন (Mutual Assimilation)

এখন এই বিভিন্ন প্রকার সমীভবন কাকে বলে তা নিয়ে আলোচনা করব -
সমীভবন কাকে বলে


(১) প্রগত সমীভবন (Progressive Assimilation) :-

পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির প্রভাবে পরবর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে যখন একই রকম বা কাছাকাছি একই রকম ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়। তখন তাকে বলা হয় প্রগত সমীভবন। 

যেমন, পদ্ম > পদ, চন্দন চমন, গলদা গলা, সুত্র সুপ্ত বাক্য বাক প্রভৃতি।

আরও পড়ুন :- অভিসার কাকে বলে?

(২) পরাগত সমীভবন (Regressive Assimilation) :-

পরবর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে একই রকম ধ্বনিতে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে পরাগত সমীভবন বলে। 

যেমন- গল্প গল্প, দুর্গা, ধর্ম, জন্ম জন্ম মূর্খ মুখ প্রভৃতি ।

(৩) অন্যান্য বা পারস্পরিক সমীভবন (Mutual Assimilation) :-

পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয় বাজন ধ্বনির প্রভাবে পারস্পরিক পরিবর্তন ঘটে তখন সেই প্রক্রিয়াকে বলে অন্যোন্য সমীভবন। 
যেমন- উচ্ছ্বাস উচ্ছ্বাস, মহোৎসব মোছৰ, কুৎসা - কেচ্ছা, সত্য সঙ্গ সাচ প্রভৃতি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ