আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা কাকে বলে ? বিশেষ কয়েকটি জেলার আঞ্চলিক ভাষায় উদাহরণ

ভাষা সম্প্রদায় কাকে বলে? একই ভাষা যারা ব্যবহার করে তাদেরকে বলে একই ভাষাভাষী বা ভাষিক সম্প্রদায় বা ভাষা সম্প্রদায় (Language Community)। আমরা যারা বাংলা ভাষায় কথা বলি তারা সকলে বাংলাভাষী সম্প্রদায়ের অন্তর্গত।

আরও পড়ুন :- সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য?

সকলের বাংলা আবার এক নয়। ভৌগোলিক ব্যবধান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সমাজগঠন, ধর্ম, পেশা ইত্যাদি কারণে এক এলাকার ভাষার থেকে অন্য এলাকার ভাষায় পার্থক্যের সৃষ্টি হয়। ভৌগোলিক ব্যবধান বা অঞ্চল ভেদে ভাষার যে-বৈচিত্র্য তা-ই হলো উপভাষা। এ ভাষাকে আঞ্চলিক ভাষা-ও বলা হয়।

অর্থাৎ অঞ্চলভেদে বাংলা ভাষার প্রচলিত কথ্যরূপকেই আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা বলে।

অর্থাৎ আঞ্চলিক ভাষার অপর নাম উপভাষা।

আমাদের প্রতিটি জেলার ভাষাই বৈচিত্র্যপূর্ণ। আমাদের প্রত্যেক জেলার নিজস্ব উপভাষা রয়েছে। উপভাষায় কথা বলা মোটেও দোষের নয়। উপভাষা হলো মায়ের মতো। মাকে আমরা শ্রদ্ধা করি, নিজ-নিজ উপভাষাকে আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে হবে।

আঞ্চলিক ভাষায় শব্দের বহুবিচিত্র রূপ দেখা যায়। নিচে কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষার উদাহরণ দেওয়া হলো।
উপভাষিক এলাকাউপভাষার নমুনা
খুলনা-যশোরঅ্যাকজন মানুশির দুটো ছাওয়াল ছিল।
বগুড়াঅ্যাকজনের দুই ব্যাটা ছৈল আছিল।
রংপুরঅ্যাকজন ম্যানশের দুইক্কা ব্যাটা আছিলো।
ঢাকাঅ্যাকজন মানশের দুইডা পোলা আছিলো।
ময়মনসিংহঅ্যাকজনের দুই পুৎ আছিল।
সিলেটঅ্যাক মানুশর দুই পোয়া আছিল।
চট্টগ্রামএগুয়া মানশের দুয়া পোয়া আছিল।
নোয়াখালীঅ্যাকজনের দুই হুত আছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ