হেমাটোপরেসিস, লিউকেমিয়া ও থ্যালাসেমিয়া কাকে বলে?

হেমাটোপরেসিস কাকে বলে:-

আমাদের শরীরের অস্থি মজ্জা থেকে রক্ত কণিকাগুলো প্রধানত তৈরি হয়। শরীরের মধ্যে অস্থি মজ্জা দু'রকম। মধ্য- লাল অস্থি মজ্জা এবং হলুদ অস্থি মজ্জা। শরীরের সমস্ত রক্ত কণিকাগুলো এ লাল অস্থি মজ্জা থেকে তৈরি হয়। এ প্রক্রিয়াকে বলে হেমাটোপরেসিস।

একজন সুস্থ মানুষের দেহে তিন ধরনের রক্ত কণিকা থাকে। রক্ত কণিকাগুলো মানব শরীরের অস্থি মজ্জায় তৈরি হয়।

লোহিত রক্ত কণিকা- যা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এতে হিমোগ্লোবিন থাকে।

শ্বেত রক্ত কণিকা- কোন বস্তু বা জীবণু রক্তে প্রবেশ করলে তা সহজে ধ্বংস করে।

অণুচক্রিকা - রক্তবাহী নালির ক্ষতি হলে রক্ত জমাট বাঁধায় সাহায্য করে।

লিউকেমিয়া কাকে বলে :-

রক্ত কোষের অস্বাভাবিকতা বা ক্যান্সারকে লিউকেমিয়া (Leukemia) বলে।

আরও পড়ুন :- সিন্যাপস কাকে বলে?

লিউকেমিয়া হলে দেহের অস্থিমজ্জা থেকে অস্বাভাবিক মাত্রায় শ্বেত রক্ত কণিকা সৃষ্টি হয়। ফলে হৃদ যন্ত্রের সমস্যা, শ্বাস গ্রহণে কষ্ট বা বুকে ব্যথা, নাক থেকে রক্ত পড়া, চামড়ায় যা তৈরি, হাত ও পায়ের জোড়ায় ব্যথা ও ফুলে উঠা, হাত ও পা কাঁপতে থাকা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।

মানুষের কয়েক ধরনের লিউকেমিয়া দেখা দেয়। এ রোগ দ্রুত বৃদ্ধির ফলে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে।

লিউকেমিয়ার প্রতিকার - কেমোথেরাপি এবং ঔষধ।

রক্ত শূন্যতা- লোহিত রক্ত কণিকা দেওয়ার মাধ্যমে।

রক্তক্ষরণ- অণুচক্রিকা দেওয়ার মাধ্যমে।

থ্যালাসেমিয়া কাকে বলে :-

লাল রক্ত কণিকার হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে যে সমস্যা হয় তাকে থ্যালাসেমিয়া বলা হয়। এটা বংশগত সমস্যা।

কারণ- হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে (আলফা) এবং B (বিটা) গ্লোবিন চেইনে সমস্যা।

লক্ষণ- রক্তশূন্যতা। দুর্বলতা ও অজ্ঞান হওয়ার প্রবণতা। শ্বাসকষ্ট।

প্রতিকার- অস্থি মজ্জা স্থানান্তরের মাধ্যমে আয়রন থেরাপি। প্লীহা অপসারণ করার মাধ্যমে।

আরও পড়ুন:- সাইনুসাইটিস কি?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ