বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস | সাহিত্য কাকে বলে | খুঁটিনাটি প্রশ্ন উত্তর

সাহিত্য হল সমাজের দর্পণ। সাহিত্যের বিষয় মানব চরিত্র এবং মানব হৃদয়। বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিকে অর্থাৎ নবম দশম শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পাঠ করে আমার ঐ সময় কালের জনজীবন, ধর্ম-সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক ও ঐতিহাসিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি ধারনা তৈরী করতে পারবো। যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাস ও পরম্পরা সম্পর্কে দার্শনিক নান্দনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জানতে পারবো।

আরও পড়ুন :- বাংলা ভাষা কাকে বলে?

এবং উনিশ-বিশ শতকে আর্থ সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনে জন-জীবনের যে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে তার ছাপ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় পড়ছে এবং এর সমাজ-সংস্কার আন্দোলন, ধর্ম সংস্কার আন্দোলন, নতুন সাংস্কৃতিক চেতনার জন্ম হচ্ছে সেগুলি সম্পর্কে পরিচয় লাভ করতে পারবো।

সাহিত্য কাকে বলে বা কি :-

ইংরেজি 'লিটারেচার' ( Literature) - এর প্রতিশব্দ 'সাহিত্য' শব্দটি আমরা অনেকেই ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু 'Literature' বলতে সাধারণত ভাবে, এমন কিছু যা বইয়ে ছাপা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সাহিত্য মানে সেই যা মানুষের জন্য সর্বজনীন স্বার্থ। যা স্থানীয় বা পেশাগত বা কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা সাহিত্যের অন্তর্গত হবে না।
সাহিত্য কি বা কাকে বলে

সাহিত্য কাকে বলে? সাহিত্য সেই বইগুলি নিয়ে গঠিত যা তাদের বিষয়বস্তু এবং লিখন শৈলীর কারণে সাধারণ মানুষের আগ্রহের বিষয়। সাহিত্য মূলত আনন্দ দেওয়ার জন্য। রান্নার বই, আইনি গ্রন্থ, পঞ্জিকা এগুলো কিন্তু সাহিত্যের অন্তর্গত নয়, কিন্তু গ্রিক নাটকের উপর শেক্সপিয়ারের নাটক হচ্ছে সাহিত্য কারণ এটির বিষয়বস্তু এবং লিখন শৈলীর পদ্ধতির কারণে নান্দনিক তৃপ্তির প্রাথমিক কাজটি পূরণ করে।

আরও পড়ুন :- মঙ্গলকাব্য কত প্রকার ও কি কি?

সাহিত্যের পরিভাষার কোন বাস্তব সম্মতি বা একক সব সংজ্ঞা নেই। একারনেই সাহিত্য কি বা কাকে বলে? তা বলা খুব কষ্ট সাধ্য। অধিকাংশই পণ্ডিতগণসাহিত্যের সংজ্ঞা তাদের বিষয়গত অভিজ্ঞতা এবং তাদের প্রসঙ্গ অনুযায়ী দিয়েছেন।

সাধারণ ভাবে বলতে গেলে বাংলা সাহিত্য হল বাংলা ভাষার দ্বারা রচিত সাহিত্যকর্ম।

আবারও সাহিত্য কাকে বলে? 'সাহিত্য' বলতে আমরা সেসব রচনা গুলোকেই স্বীকৃতি দেই, যেগুলো জীবন প্রবাহের বিচিত্র ও জটিল অভিজ্ঞতা সমূহকে মন্থন করে কোনো 'বিশেষ সৃজন' রূপে যার সৃষ্টি বা উদ্ভব।

সাহিত্য হচ্ছে মানুষের সৃষ্ট শিল্প সাহিত্য ব্যাপক ও বিচিত্র একটি ধারণা। সাহিত্যের যে কোন রূপ বা আঙ্গিক বিচারের ক্ষেত্রে সাধারণত বিষয়বস্তু এবং শিল্পরূপ বা প্রকরণ – এ দুটি মানদন্ড বিবেচ্য।


কবিতা, নাটক, উপন্যাস, ছোটগল্প ও প্রবন্ধ সাহিত্যের একেকটি রূপ বা Form এই রূপ বা গঠনগত স্বাতন্ত্র্যের কারণেই প্রতিটি সাহিত্য আঙ্গিক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে রয়েছে। যেমন কবিতার রূপ গড়ে ওঠে তার ভাবনিষ্ট অন্তর্ময় বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে প্রবন্ধের অবস্থান তার বিপরীত মেরুতে। প্রবন্ধ বস্তুনিষ্ট ও বিশেষণধর্মী। তেমনি নাটকে দেখা যায়, নাট্যকার, অভিনেতা, মঞ্চ ও দর্শক একটা সামবায়িক শিল্পক্ষেত্র রচনা করেছে।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস :-

বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন চর্যাপদের সূচনা থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে সাধারণভাবে প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক – এই তিন যুগে ভাগ করা হয়েছে।
  1. আদিযুগ বা প্রাচীন যুগ (৯৫০-১২০০ খ্রি:)
  2. মধ্যযুগ (১২০১-১৮০০ খ্রি:)
  3. আধুনিক যুগ (১৮০১ খ্রি: - বর্তমান কাল)
বাংলা সাহিত্যের যুগবিভাগ সম্পর্কে পণ্ডিতেরা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। তবে অনেকেই এই তিনটি যুগবিভাগ স্বীকার করেন।

১ - আদিযুগ বা প্রাচীন যুগ :-

বাংলা সাহিত্যের সামগ্রিক ইতিহাসকে তিন যুগে ভাগ করা হয়েছে। এর প্রথম যুগের নাম প্রাচীন যুগ। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন চর্যাপদ ।

মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে ১৯০৭ সালে আবিষ্কৃত এবং বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সাহায্যে ১৯১৬ সালে প্রকাশিত 'হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা' নামক গ্রন্থের চব্বিশ জন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যের রচিত চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ের সাতচল্লিশটি গান চর্যাপদ নামে পরিচিত।

চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের গূঢ় সাধনপ্রণালী ও দর্শনতত্ত্ব নানা প্রকার রূপকের মাধ্যমে আভাসে ইঙ্গিতে ব্যক্ত হয়েছে। প্রাচীন বাংলা ভাষায় রচিত এ পদগুলোর যেমন সাহিত্যিক মূল্য বিদ্যমান, তেমনি প্রাচীন বাঙালি সমাজের চিত্রও এতে সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত।

আরও পড়ুন :- মনসামঙ্গল কাব্যের কাহিনি কি?

ধর্মনির্ভর, আধ্যাত্মিক ও আত্মগত ভাবানুভূতিপ্রধান বিষয়বস্তু অবলম্বনে আদি যুগের বাংলা সাহিত্য তৎকালীন সম্প্রদায়গত বিভেদ বিচ্ছেদ উপেক্ষা করে একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত রূপ নিয়েছিল ।

চর্যাপদ আবিষ্কারের মাধ্যমে বাংলা ভাষার আদি স্তরের লক্ষণ সম্পর্কে অবহিত হওয়া সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে পালযুগের সাধারণ বাঙালির সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয় এতে রূপলাভ করেছে।

চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন বলে বিবেচিত হওয়ায় প্রাচীন বাঙালির জীবন ও সাধনা সম্বন্ধে অনেক রহস্যের সমাধান ঘটেছে। চর্যাপদ সদ্য নির্মীয়মান বাংলা ভাষার নিদর্শন। এর রচয়িতাগণ দুরূহ ধর্মতত্ত্বকে সহজবোধ্য রূপকে উপস্থাপন করেছেন। আর সেই সঙ্গে রেখেছেন কবিতশ্রুক্তির উজ্জ্বল স্বাক্ষর।

২ - মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস :-

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগকে আবার ৩টি ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা অন্ধকার যুগ, আদি মধ্যযুগ ও অন্ত মধ্যযুগ।

অন্ধকার যুগ :-

বাংলা সাহিত্যের আদিযুগের সঙ্গে মধ্যযুগের বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ১২০০ থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত সময় মধ্যযুগ বলে চিহ্নিত। এর মধ্যে ১২০০ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত ১৫০ বছরকে কেউ কেউ অন্ধকার যুগ বা তামস যুগ বলে অভিহিত করেছেন।

নানা কারণে এ সময়ের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সাহিত্যসৃষ্টির নিদর্শন পাওয়া যায় নি। তবু ১২০০ সাল থেকেই মধ্যযুগের সূত্রপাত ধরতে হয়।

আদি ও অন্ত মধ্যযুগ :-

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় বিভক্ত । শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য দিয়ে মধ্যযুগের শুরু। পরবর্তী পর্যায়ে মঙ্গলকাব্য, অনুবাদ সাহিত্য, বৈষ্ণব পদাবলি, জীবনী সাহিত্য, নাথসাহিত্য, রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান, লোকসাহিত্য ইত্যাদি সাহিত্যসৃষ্টি এই যুগকে পরিসরে ও বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ করেছে।

মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন বড়ু চণ্ডীদাসের 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য। আনুমানিক চৌদ্দ শতকের শেষার্ধে বা পনের শতকের প্রথমার্ধে কবি বড়ু চণ্ডীদাস রাধাকৃষ্ণের প্রেমকাহিনি অবলম্বনে এ কাব্য রচনা করেন।

মধ্যযুগের বিরাট পরিসর জুড়ে মঙ্গলকাব্যের উদ্ভব ঘটেছিল। দেবদেবীর মাহাত্ম্যসূচক এই কাব্যধারার সূত্রপাত হয় পনের শতকে। তবে ষোল শতকে এর সর্বাধিক প্রসার ঘটে। ধর্মমঙ্গল, মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, শিবমঙ্গল বা শিবায়ন প্রভৃতি এ পর্যায়ের বিভিন্ন শাখা ।

শ্রীচৈতন্যদেবের (১৪৮৬-১৫৩৩) আবির্ভাবের ফলে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ নতুন কাব্য সম্পদে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। শ্রীচৈতন্যদেবের জীবন কাহিনি অবলম্বনে জীবনী সাহিত্যের বিকাশ সাধিত হয়। বৃন্দাবন দাসের 'চৈতন্যভাগবত', লোচনদাসের চৈতন্যমঙ্গল’, কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্যচরিতামৃত' প্রভৃতি এ পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য জীবনী কাব্য।

মধ্যযুগে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যের চর্চা হয় এবং সেখানকার মুসলমান কবিগণ ধর্মসংস্কারমুক্ত মানবীয় প্রণয়কাহিনি অবলম্বনে কাব্য রচনা করে নতুনতর বৈশিষ্ট্য দেখান। দৌলত কাজী ও আলাওল এ সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি।

মধ্যযুগে নাথসাহিত্য, শাক্ত পদাবলী এবং বাউল ও অপরাপর লোকসঙ্গীতের প্রচার দেখা যায়। ময়মনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকা এ যুগের সৃষ্টি।

সাহিত্যের আধুনিক যুগ :-

১৮০০ সাল থেকে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের শুরু। ১৮০০ থেকে ১৮৬০ পর্যন্ত সময়টুকু প্রথম পর্যায় এবং ১৮৬০ থেকে আধুনিক যুগের দ্বিতীয় পর্যায় ।

পাশ্চাত্য সাহিত্যের প্রভাবেই আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সূত্রপাত। আধুনিক যুগের প্রথম পর্যায়ে বাংলা গদ্যের চর্চা শুরু হয় এবং সাহিত্যের ভাষা হিসেবে গদ্য পরিণত পর্যায়ে উন্নীত হয়।

গদ্যের উৎকর্ষ সাধনের ফলে গদ্যনির্ভর সাহিত্য – যেমন প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, নাটক সৃষ্ট হয়ে বাংলা সাহিত্যকে বৈচিত্র্যমুখী করে তোলে।

উইলিয়াম বেরির অধিনায়কত্বে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকগোষ্ঠী বাংলা গদ্যের ধারাবাহিক চর্চা শুরু করেন। পরবর্তীকালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের মাধ্যমে তা সাহিত্যের যথার্থ বাহন হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন :- ধর্মমঙ্গল কাব্যের কাহিনি?

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসই বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক উপন্যাস। মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রথম সার্থক নাট্যকার। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর অমর সৃষ্টি মেঘনাদবধকাব্যের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্যের ধারার প্রবর্তন করেন। তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দ সৃষ্টি করে বাংলা ছন্দের ক্ষেত্রেও যুগান্তর ঘটান। বিহারীলাল চক্রবর্তী বাংলা সাহিত্যে প্রথম গীতিকবিতার প্রবর্তন করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবির্ভাবে বাংলা সাহিত্যের সর্বোত্তম বিকাশ ঘটে। সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় রবীন্দ্রনাথ শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন রেখে গেছেন। বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরেরও অধিক কালের ইতিহাসে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছিল, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি উন্নতি সাধিত হয়েছে আধুনিক যুগের উনিশ শতকের মাঝামাঝি থেকে বিশ শতকের শেষ পর্যন্ত এই ১৫০ বছরে।

বাংলা সাহিত্যের খুঁটিনাটি প্রশ্ন উত্তর :-

এখন আমরা কিছু বাংলা সাহিত্যের খুঁটিনাটি প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করব আশা করি তোমাদের উপকারে লাগবে।

১- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস প্রধানত কয়টি যুগে ভাগ করা?
উ:- তিনটি।

২- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যুগ তিনটি কী কী?
উ:- প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগ।

৩- বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন কি?
উ:- শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন।

৪- মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য নিদর্শন কি?
উ:- পদ্মাবতী ও অন্নদামঙ্গল

৫- চন্ডীদাস কোন যুগের কবি ?
উ:- মধ্যযুগের।

৬- বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য ধারার অন্যতম মহাকবি?
উ:- মাইকেল মধুসুদন দত্ত।

৭- বাংলা সাহিত্যে গীতিকাব্য ধারার প্রথম কবি?
উ:- বিহারীলাল চক্রবর্তী।

৮- শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কোন যুগের নিদর্শন?
উ:-চৈতনাপূর্ব যুগ।

৯- বাংলা সাহিত্য কথ্যরীতির প্রবর্তক কে?
উ:- প্রমথ চৌধুরী।

১০- বাংলা ভাষায় প্রথম সামাজিক নাটক কোনটি ?
উ:- কুলীনকুল সর্বস্ব।

১১- বাংলা সাহিত্যর প্রথম সার্থক নাট্যকার কে?
উ:- মাইকেল মধুসুদন দত্ত।

১২- বাংলা উপন্যাস সাহিত্য ধারার জনক?
উ:- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৩- বাংলা সাহিত্য ছোটগল্পের প্রকৃত জনক?
উ:- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৪- বাংলা গদ্যের জনক কে?
উ:- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

১৫- বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্যের নাম কী?
উ:-মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ কাব্য'

১৬- বাংলা গদ্য সাহিত্য কখন শুরু হয়?
উ:- আধুনিক যুগে।

১৭- বাংলা গদ্যর উৎপত্তি কখন হয়?
উ:- আঠারো শতকে।

১৮- মধ্যযুগের অবসান ঘটে কখন?
উ:-ঈশ্বর গুপ্তের মৃত্যুর সঙ্গে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ