টেন্‌ডন ও লিগামেন্ট কাকে বলে?

টেন্‌ডন কাকে বলে :-

মাংসপেশির প্রান্তভাগ রজ্জুর ন্যায় শক্ত হয়ে অস্থিগানের সাথে সংযুক্ত থাকে। এ শক্ত প্রান্তকে টেন্‌ডন (Tendon) বলে।

ঘন শ্বেত তন্ত্রময় যোজক টিস্যু দ্বারা টেন্‌ডন গঠিত। এসব টিস্যু শাখা-প্রশাখাবিহীন, তরঙ্গিত এবং উজ্জ্বল শ্বেততন্ত্র দ্বারা গঠিত। এরা গুচ্ছাকারে পরস্পর সমান্তরালভাবে বিস্তৃত থাকে।

অনেকগুলো তন্ত্র একত্রে আঁটি বা বান্ডেল তৈরি করে। এদের স্থিতিস্থাপকতা নেই। আঁটিগুলো একত্রে দলবদ্ধ হয়ে আঁটিগুচ্ছ তৈরি করে। আঁটিগুচ্ছগুলো তন্ত্রময় টিস্যুগুচ্ছ দ্বারা বেষ্টিত হয়ে অধিকতর বড় আঁটিতে শ্রেণিবন্ধ হয়। একে পেরিটেডিয়াম বলে।

আরও পড়ুন :- অস্থিসন্ধি কি?

টেন্‌ডন বেশ শক্ত। পেশি বা অস্থির তুলনায় টেনডনের ভেঙ্গে বা ছিড়ে যাবার সম্ভাবনা অনেক কম। টেন্‌ডন দেহ কাঠামো গঠন ও দৃঢ়তাদানে, অস্থিবন্ধনী গঠনে সাহায্য করে এবং চাপটানের বিরুদ্ধে যান্ত্রিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

লিগামেন্ট কাকে বলে :-

পাতলা কাপড়ের ন্যায় কোমল অথচ দৃঢ়, স্থিতিস্থাপক বন্ধনী দ্বারা অস্থিসমূহ পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকে। একে অস্থিবন্ধনী বা লিগামেন্ট (Ligament) বলে।

লিগামেন্ট শেততন্ত্র ও পীততম্ভর সমন্বয়ে গঠিত। এতে পীতবর্ণের স্থিতিস্থাপক তন্ত্রর সংখ্যা বেশি থাকে। এর মধ্যে সরু শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট জালিকার ন্যায় বিন্যন্ত কতকগুলো তন্তু ছড়ানো থাকে।

তন্ত্রগুলো গুচ্ছাকারে না থেকে আলাদাভাবে অবস্থান করে। এদের স্থিতিস্থাপকতা রয়েছে। লিগামেন্ট অস্থিকে আটকে রাখে। এতে অঙ্গটি সবদিকে সোজা বা বাঁকা হয়ে নড়াচড়া করতে পারে এবং হাড়গুলো স্থানচ্যুত ও বিচ্যুত হয় না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ