ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি? ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কাজ ও সুবিধা?

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি :-

DBMS এর পূর্ণ অর্থ হলো Database Management System. ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য এবং সে তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রামের সমষ্টি।

অর্থাৎ ডেটাবেঝা তৈরি, সংরক্ষণ, পরিবর্তন, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত সফটওয়ারই হলো ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডেটাবেজ ও ডেটাবেজ ব্যবহারকারীর মধ্যে সমন্বয়কারী সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে। সাধারণত ডেটাবেজকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য DBMS ব্যবহৃত হয়। আবার DBMS-এর অন্তর্গত প্রোগ্রামসমূহ ডেটাবেজ তৈরি, ডেটা প্রবেশ করানো, ডাটার আধুনিকীকরণ, ডাটা এডিটিং ইত্যাদি কাজ করার জন্য DBMS ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন :- আ্যানালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের মধ্যে পার্থক্য?

বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়। যেমন-

  • মাইক্রোসফট অ্যাকসেস (Microsoft Access),
  • মাইক্রোসফট ভিজুয়াল বেসিক (Microsoft Visual Basic),
  • মাইক্রোসফট ফক্সপ্রো (Microsoft Foxpro),
  • পাওয়ার বিল্ডার (Powerbuilder),
  • ইনফরমিক্স (Infernux),
  • প্যারাডক্স (Paradox),
  • এসকিউএল (SQL),
  • ওরাকল (Oracle)
  • ডিবেজ (Dhase),
  • ডেলফি (Delphi),
  • জাভা (Java) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কি

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্টের সুবিধা :-

১. ডেটার বাহুল্যতা কমায়।

২. রেকর্ডের ভিত্তিতে আধুনিকীকরণ করা যায়।

৩. বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট তৈরি করা যায়।

৪. বিভিন্ন ধরনের ব্যবহারের জন্য ডেটা সংরক্ষণ করা যায়।

৫. সহজে ডেটাবেজ থেকে নির্দিষ্ট রেকর্ড অনুসন্ধান করা যায় ।

৬. ডেটার সঠিকতার নিশ্চয়তা প্রদান করা যায় ।

৭. প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করে রিপোর্ট তৈরি করা যায়।

৮. ডেটার অননুমোদিত ব্যবহার রোধ করা যায় ইত্যাদি।

আরও পড়ুন :- ইকমার্স কাকে বলে?

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কাজ :-

১. প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটাবেজ তৈরি করা।

২. তথ্য আহরণ জমা ও আপডেট করা।

৩. ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ করা।

8. নতুন রেকর্ড অন্তর্ভূক্ত করা

৫. প্রয়োজন অনুযায়ী রেকর্ড মুছে ফেলা।

৬. ডেটার বানান ও সংখ্যার ভুল অনুসন্ধান ও সংশোধন করা।

৭. প্রয়োজনীয় ডেটা বা রেকর্ড অনুসন্ধান ও ব্যবহার করা।

৮. রেকর্ডসমূহকে নির্দিষ্ট নিয়মে সাজানো।

৯. ডেটার নিরাপত্তা বিধান করা

১০. ফর্ম ও রিপোর্ট তৈরি করা এবং প্রয়োজনীয় ডেটাবেজের প্রিন্ট নেওয়া।

১১. ডেটার রিডাডেপি কমানো ইত্যাদি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ