তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ কাকে বলে?

তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ কাকে বলে :-

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, অনেক সংস্কৃত শব্দ অবিকৃত অবস্থায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ঠিক তেমনি বহু সংস্কৃত উপসর্গও বাংলা ভাষায় শব্দ গঠন করতে ব্যবহার করা হয়, এগুলো সংস্কৃত উপসর্গ।

যেসব উপসর্গ সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে সেসব উপসর্গকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ।

যে সংস্কৃত অবায়বাচক শব্দাংশগুলো শব্দের পূর্বে বসে শব্দের অর্থের পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করে এই শব্দাংশগুলোকেই সংস্কৃত উপসর্গ বলে।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত উপসর্গ বিশটি। এগুলো হলো- প্র, পরা, অপ, সম, নি, অব, অনু, নির, দূর, বি, অধি, সু, উদ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।

১. প্র-প্রভাত আজি প্রভাতে রবির কর/ কেমনে পশিল প্রাণের পর।

২. পরা- পরাজিত সে জীবনযুদ্ধে একজন পরাজিত সৈনিক।

৩. অপ- অপমান কারো অপমান করা ঠিক নয়।

৪. সু- সুকোমল সুকোমল বিছানায় শুয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ল।

৫. পরি -পরিচয় তার পরিচয় পেয়ে আমি মুগ্ধ হলাম ।

৬. প্রতি- প্রতিদান খারাপ কাজের প্রতিদান ভালো হয় না। প্রতিবেশী : প্রতিবেশীর সাথে খারাপ ব্যবহার করা ঠিক নয়।

প্রতিবাদ : অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিৎ।

৭. অভি-অভিনয় সংসারে অনেককেই অভিনয় করতে হয়।

অভিসন্ধি তার অভিসন্ধি বুঝতে আমাদের দেরী হলো না।

অভিযোগ সে শুধু সবার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে।

৮. অতি- অভিবক্তি : অতিভক্তি চোরের লক্ষণ।

অতিক্রম এই বাধা অতিক্রম করা তার পক্ষে সহজ হবে না।

অতিশয় সে অতিশয় ভালো লোক।

৯. অনু- অনুশোচনা লোকটি খারাপ কাজ করে এখন অনুশোচনায় দক্ষ ।

অনুরাগ : লোকে বলে রাগ নাকি অনুরাগের আয়না।

১০. উপ- উপদেশ শিক্ষকের উপদেশ মানা ছাত্রদের কর্তব্য।

উপভোগ : বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে তিনি মুগ্ধ হলেন।

উপজাতি : বাংলাদেশে বিভিন্ন উপজাতি বাস করে।

এগুলো ছাড়াও নিচে অর্থসহ সংস্কৃত উপসর্গের ব্যবহার দেখানো হলো
তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত উপসর্গ
তৎসম উপসর্গের উদাহরণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ