যোগ্যতা কাকে বলে? যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য লিখ?

যোগ্যতা কাকে বলে :-

শিখন শেখানোর মধ্য দিয়ে কোনো জ্ঞান, দক্ষতা বা দৃষ্টিভঙ্গি পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত করার পর কেউ তার বাস্তব জীবনে প্রয়োজনের সময়ে তা কাজে লাগাতে পারলে সেই জ্ঞান, দক্ষতা বা দৃষ্টিভঙ্গিকে তার একটি যোগ্যতা বলা হয়।

এককথায় যোগ্যতা বলতে কোন কাজ করার বা করতে পারার গুণ, সামর্থ্য বা সক্ষমতাকে বুঝায়।

যোগ্যতা বা সামর্থ্য গুলো অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্জনযোগ্য হবে। একই সাথে সেগুলো যাচাই বা মূল্যায়নযোগ্য বা পরিমাপযোগ্য হবে।

আরও পড়ুন :- পাঠ্যসূচি কি?

শিক্ষার ক্ষেত্রে যোগ্যতা কী? তা বলা যায় একটি নির্দিষ্ট স্তরের শিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা যে জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি’র সমন্বয়ে গঠিত সামর্থ্য গুলো অর্জন করবে বলে আশা করা হয় সেগুলোকে যোগ্যতা বলে।
যোগ্যতা কাকে বলে

যোগ্যতার বৈশিষ্ট্য :-

১. যোগ্যতাসমূহ অবশ্যই জ্ঞান, দক্ষতা বা দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনযোগ্য পরিপূর্ণ ও দৃশ্যমান প্রকাশ হতে হবে।

আরও পড়ুন :- পঠন কাকে বলে?

২. যোগ্যতাসমূহ অবশ্যই পরিমাপযোগ্য হতে হবে।

৩. যোগ্যতা অর্জনকারী বাস্তব জীবনে প্রয়োজনের সময়ে সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে সেই জ্ঞান, দক্ষতা বা দৃষ্টিভঙ্গিকে তার একটি যোগ্যতা বলা যাবে।

৪. শিখনফলের (learning objectives) সাথে যোগ্যতার (Competencies) পার্থক্য আছে। শিখনফল তত্ত্বীয় জ্ঞান ও প্রয়োগিক দক্ষতার সমন্বয়ে গঠিত হয়। কিন্তু যোগ্যতা হলো জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রায়োগিক ও দৃশ্যমান অবস্থা।

৫. শিখনফলের মতই যোগ্যতাসমূহ লেখার সময় সুনির্দিষ্ট পরিমাপযোগ্য এবং আচরণিক পরিভাষায় লিখতে হয়। শিখনফলের মাধ্যমে যেখানে শুধু প্রশিক্ষণার্থী বা শিক্ষার্থী কী অর্জন করবে জানা যায় সেখানে যোগাতার মাধ্যমে সে অর্জনগুলো কীভাবে অর্জন ও প্রয়োগ করবে তা নিশ্চিত করা হয়।

৬. যোগ্যতা প্রকৃতপক্ষে দৃশ্যমান উপযুক্ত সামর্থ্য প্রদর্শনের ওপর প্রতিষ্ঠিত।

আরও পড়ুন :- বক্তৃতা কি?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ